Meghna Cement Mills PLC.

News

News

অনগ্রসর শিশুদের আলোর পথ দেখাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল প্রাঙ্গণে খুদে শিক্ষার্থীরা দিনাজপুর সদর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে বীরগঞ্জ পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের  অনিন্দ্যসুন্দর গ্রাম মাকড়াই। গ্রামটির পূর্ব দিকটায় সবুজে ঘেরা ঘন শালবন ও নদী এবং পশ্চিম পাশে এশিয়ান হাইওয়ে। বীরগঞ্জের সমতল ভূমিতে আবাস গড়েছে অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন। শিক্ষা ও জীবনমানে অনেক পিছিয়ে আছে এই জনগোষ্ঠী।   দরিদ্রতা এখানকার লোকজনের এগিয়ে যাওয়ার পথে চরম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেওয়া, স্কুলে পাঠানো আকাশকুসুম কল্পনা যেন। তিনবেলা খাবার জোটাতে যেখানে এই লোকজনকে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে সন্তানদের তারা পড়তে পাঠাবেন কিভাবে। তা-ও আবার আশপাশে দু-তিন কিলোমিটারের মধ্যে এমন কোনো স্কুল নেই, যেখানে সন্তানদের পাঠাতে পারে তারা।   এ জন্য এই গ্রামটির সুবিধাবঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। পিছিয়ে পড়া এই মানুষগুলোকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে, তাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে এগিয়ে আসে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সম্প্রতি সেখানে চালু করা হয় ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল’। দিনটি ছিল ২৪ জুন। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল উদ্বোধন করতে বড় একটি টিমসহ দিনাজপুরে যান একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। দিনাজপুরের বিভিন্ন শাখার শুভসংঘের বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল ও শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান। মেইন রোড থেকে কিছুটা হাঁটার পথ পেরোলেই চোখে পড়বে স্কুলটি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপজাতি মেয়েরা নেচে-গেয়ে অতিথিদের স্বাগত জানায়। তাদের ঐতিহ্যবাহী এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা সবাইকে মুগ্ধ করে।   ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা স্বপ্ন দেখি একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশের। একটি আলোকিত বাংলাদেশের। শিক্ষিত জাতিই পারে আমাদের আলোকিত বাংলাদেশের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে। আমাদের স্বপ্ন পূরণের সারথি হয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তাঁর সহযোগিতায় আমরা দশম স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় আমরা বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল করব। জায়গা কিনে আলাদা ভবন করব। সেখানে স্কুল, প্রশিক্ষণকেন্দ্র, পাঠাগার থাকবে। নারীরা সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ নেবেন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেবেন। স্বাবলম্বী হয়ে এই দেশের অনগ্রসর নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াবেন, এটাই আমাদের চাওয়া। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা সমাজের মূলধারায় ফিরে আসুক, এটা আমাদের লক্ষ্য। করোনাকালে বসুন্ধরা শুভসংঘ এই এলাকার মানুষের মাঝে এক মাসের করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে পাশে দাঁড়ায়েছি আমরা। হাজারের বেশি নারীকে স্বাবলম্বী করতে পেরেছি। এখন যদি এই শিশুদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলেই সফলতা আসবে। উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যত কষ্টই হোক, আপনাদের সন্তানকে নিয়মিত স্কুলে পাঠাবেন। এই শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। এরা বড় হয়ে দেশকে বদলে দেবে। আপনাদের পরিবারের অবস্থাটাও বদলাবে। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে আপনাদের পাশে আছি।  সব সময় সুখে-দুঃখে আমাদের পাবেন আপনারা। একটাই অনুরোধ, সন্তানদের ঠিতমতো স্কুলে পাঠাবেন। তাদের পড়ালেখা করানোর সব দায়িত্ব আমাদের। সবাই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় ও তাঁর পরিবারের সবার জন্য দোয়া করবেন।’প্রাথমিকভাবে মাকড়াই গ্রামের ১৪০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল’। নিয়মিত সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুজন শিক্ষক ও একজন সমন্বয়ক নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। অপূর্ব মাডি বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের নিয়মিত শিক্ষার্থী। আট বছরের অপূর্ব এখন রোজ স্কুলে যায়। দরিদ্রতার অজুহাতে অপূর্বকে স্কুলে পাঠাতেন না তার মা-বাবা। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল চালু হতেই এখানে তাকে ভর্তি করে নেন শুভসংঘের সদস্যরা। এখন প্রতিদিনই স্কুলে আসে অপূর্ব। ক্লাসের পড়া, অন্য শিশুদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড়ে দিন কাটে তার। অথচ কিছুদিন আগেও স্কুলে যেত না সে। তাকে লেখাপড়া করানোর স্বপ্ন ছিল মা-বাবার কাছে অলীক কল্পনা। তার মতোই অনুপন মাডি,  আবদুল বারিসহ শতাধিক শিক্ষার্থী দিন শুরু করে জাতীয় সংগীত আর পিটির মাধ্যমে। ছোট্ট অপূর্ব বলে, ‘আমরা সকালে স্কুলে পড়াশোনা করি এবং পড়া শেষ করে পরিবারের কাজ করি। আমরা এখানে পিটি করি, কবিতা পড়ি। ম্যাডাম আমাদের অনেক আদর করেন।’ বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিভাবক মিনি মুরমু বলেন, ‘পাশেই বড় শালবাগান পার হয়ে ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। আরেকটি স্কুল আছে, সুজালপুর হাইওয়ে রাস্তা পার হয়ে যেতে হয়। সেটিও এত দূর যে ছোট বাচ্চাদের যাওয়া-আসার পথে নানা আশঙ্কায় থাকে পরিবার। তাই কাছাকাছি স্কুল হওয়ায় অনেক ভালো হয়েছে। আমরা সন্তানদের নিশ্চিন্তে স্কুলে দিতে পারছি।’ আরেকজন অভিভাবক রিতা হেমরম বলেন, ‘আমরা এই স্কুল পেয়ে অনেক খুশি। আমাদের আর দূরে যেতে হবে না। শিশুরা এখানে সুন্দরমতো লেখাপড়া করতে পারবে। এই স্কুলের কারণে আমাদের মতো অসচ্ছল পরিবারের শিশুরা পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে। এখানে বিনা মূল্যে বই, খাতা, কলম দেওয়া হয়। আমরা বসুন্ধরার কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের এই সহায়তার জন্য আমরা ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখছি।’ বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপকে সাধুবাদ জানাই এ ধরনের মহতী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। তাদের এই স্কুলের কারণে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুরা শিক্ষার সুযোগ পাবে। অনগ্রসর শিশুদের আলোর পথ দেখাচ্ছে তারা। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই ধন্যবাদযোগ্য। বসুন্ধরা গ্রুপ শুরু থেকেই সমাজের জন্য কাজ করে আসছে। আমি দেখেছি করোনায়, শীতে, বন্যায় তারা মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সমাজের সবার উচিত তাদের অনুসরণ করা। উন্নত ও শিক্ষিত একটি জাতির যে স্বপ্ন আমরা দেখি, তা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যেতে পারব তখনই, যখন সবাই এগিয়ে আসবে। বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগের কারণে দেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’ Source: kalerkantho

কালের কণ্ঠ

News

মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১ হাজার পরিবার পেল বসুন্ধরার অর্থ সহায়তা

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১ হাজার পরিবারের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ দ্বিতীয় দফায় নগদ অর্থ সহায়তা করেছে। গতকাল দুপুরে শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়ার সরকারবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির মাঠে দ্বীপের ১ হাজার পরিবারকে ৪ হাজার টাকা করে ৪০ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। এ সময় ইয়াহিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, মো. আয়ুবুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ। এখানে তিনটি ওয়ার্ডে বসবাস করছেন ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে ৮ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়-পরবর্তী সময়ে দুর্দশায় দিনাতিপাত করা দ্বীপবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। শাহপরীর দ্বীপ ৮ নম্বর ওয়ার্ড কোনারপাড়ার বাসিন্দা তৈয়বা খাতুন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনেক কষ্ট পাচ্ছি। এমন দুঃসময়ে আমার পরিবারের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা গ্রুপ। আমার দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে তারা আমাকে নগদ অর্থ সহায়তা দিলেন। এতে অনেক উপকার হয়েছে। আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপকে গরিব-দুঃখীদের আরও বেশি সহায়তা করার তৌফিক দিন।’ ৯ নম্বর ওয়ার্ড বাজারপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘এর আগেও বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। যে কোনো সংকটে তারা আমাদের পাশে দাঁড়ান। তাদের দেওয়া সাহায্য-সহযোগিতা অনেক উপকারে আসে। দুঃসময়ে এভাবে পাশে দাঁড়ানো বসুন্ধরা গ্রুপের ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারব না। আল্লাহ তাদের বরকত দান করুন।’ এর আগে ২৭ মে শাহপরীর দ্বীপে মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০ পরিবারকে ৮ হাজার টাকা করে ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

News

দারিদ্র্যজয়ী অদম্য মেধাবীদের পাশে বসুন্ধরা এমডি

মিনহাজুল আবেদীন ও তৌহিদুর রহমান দুই ভাই। শেরপুরের এক কুঁড়েঘরে কোনোমতে দিন কাটে তাদের। অসহায় পরিবারে জীবিকার চাকা ঘোরে না। তাই দুই ভাই রিকশা চালিয়ে সচল রেখেছে সংসার। রিকশা চালানোর ফাঁকে যেটুকু সময় পায়, তাতেই বাজিমাত করেছে। এসএসসিতে পেয়েছে জিপিএ ৫। রিকশা চালিয়েও ভালো ফল করায় প্রশংসা কুড়িয়েছে তারা। তবে প্রবল ইচ্ছাশক্তিও হার মানে দরিদ্রতার কাছে। তাদের ভাগ্যাকাশে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। এ অবস্থায় তাদের পাশে সহায় হয়েছেন দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। মঙ্গলবার নিজের জন্মদিনে দুই ভাইয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন এককালীন শিক্ষাবৃত্তি। শুধু এই দুই ভাই নয়, দেশের এমন ভাগ্যহত ১০৪ জন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছেন সায়েম সোবহান আনভীর। আজ কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এসব শিক্ষার্থীর মাঝে এককালীন নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, নিউজ২৪-এর হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, বাংলানিউজ২৪-এর সম্পাদক জুয়েল মাজহার, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, কালের কণ্ঠের উপ-সম্পাদক ও শুভসংঘের উপদেষ্টা হায়দার আলী, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম এবং পরিচালক জাকারিয়া জামান।বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, 'শিক্ষাটাই একমাত্র নিজের। যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। শিক্ষা থেকেই মানুষের প্রজ্ঞা তৈরি হয়। যে প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এমনভাবে তোমাদের বড় হতে হবে, যাতে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত হতে পারো। তবেই তোমাদের পাশে থাকা সার্থকতা পাবে।'জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে টঙ্গীর সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ ৫ অর্জন করে দুই ভাই মিনহাজুল ও তৌহিদুর। শেরপুরে বাড়ি হলেও টঙ্গীতে রিকশা চালায় দুই ভাই। বাবা মোশারফ হোসেন পাঁচ বছর আগে ব্যবসায় বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েন। সেই থেকে পড়ে যাওয়া সংসারের ঘানি টানছে দুই ভাই। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের দুই বোন জিম আফরোজ ও মিম আফরোজ। পিতা শফিকুল ইসলাম ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। অভাবের সংসারে দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে পারছিলেন না। কিন্তু দুই অদম্য মেধাবী ঘোষনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জন করায় হাসি ফোটে পরিবারে। শফিকুলের মনে জেগে ওঠে দুই মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করার আশা। তাতে বাধ সাধে দরিদ্রতা। দুই বোনের উচ্চশিক্ষার পথ মসৃণ করতে পাশে দাঁড়ালেন সায়েম সোবহান আনভীর। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আলীনগর গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম। একাধিক বিয়ে করে সংসার ছেড়ে চলে যান রিয়াজুলের বাবা নাছির মিয়া। সংসার আর লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ছোটবেলা থেকেই কৃষি শ্রমিকের কাজ শুরু করে রিয়াজুল। এতো কষ্টের মাঝেও দমে যায়নি সে। শত বাধা পেরিয়ে হক সাহেব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করে রিয়াজুল। হাওরের এই অদম্য সংগ্রামীর উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে পাশে দাঁড়িয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি। সংসারের বড় মেয়ে জন্মের পরই দেখেছেন বাবার চলতে না পারার কষ্ট (প্রতিবন্ধী)। নিজে হাঁটতে শিখলেও দেখেছেন বাবার অসহায়ভাবে থেমে থাকা। দেখেন অভাবের সংসার চলে প্রতিবন্ধী বাবার অটোরিকশার আয়ে। এতো কিছুর মধ্যেই টানাপড়েনের সংসারে সম্প্রতি নরসিংদীর খিরাটি এ কে হাই স্কুল থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন মোসা. নিলয়। পরিবারের চার বোনের মধ্যে নিলয় বড় হওয়ায় পরিবার নিয়ে ভাবনাটাও বেশি। নিলয়ের শিক্ষাজীবন সহজ করতে পাশে দাঁড়িয়েছন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। বাবা মো. ফরহাদ মিয়ার স্বপ্ন- তার চার মেয়েই উচ্চ শিক্ষিত হয়ে করবেন সম্মানজনক কোনো চাকরি। সেই চিন্তা থেকে কষ্ট করে সংসার চালালেও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। অটোরিকশা চালিয়ে আয় দিয়ে যেখানে সংসার চালানোই কঠিন, এমন পরিস্থিতিতে চার মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় ফরহাদ মিয়াকে। তিনি বলেন, 'আমার বড় মাইয়াটা অন্য বোনদের কথা চিন্তা করতে গিয়ে পড়াশোনায় আগাইতে পারে নাই। তার ছোটজন গত বছর পাস (এসএসসি) করলেও নিলয় এ বছর পাস করেছে। আমার এক মাইয়ার (নিলয়) পড়াশোনা নিয়া আমার আর চিন্তা নাই। বসুন্ধরার মতো এতো বড় গ্রুপ আমার মাইয়ার পাশে দাঁড়াইছে। এর চেয়ে আর বড় পাওয়া কী হইতে পারে। এমডি (বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর) সাহেবকে আল্লাহ আরেও ভালো কাজ করার তাওফিক দিন। আমি আমার বাকি মাইয়াগুলারেও লেখাপড়া করাইতে চাই। তারা যেন ভালা মানুষ হইতে পারে।' মোসা. নিলয় বলেন, 'বাবার চলতে না পারা আমাদের কখনো থামাতে পারেনি। বাবার প্রতিবন্ধকতা আমার শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। আমি সফলতার সাথে শিক্ষাজীবন শেষ করতে চাই। বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ আমার পাশে দাঁড়ানোয় কৃতজ্ঞতা।' হবিগঞ্জের সিকন্দরপুরের মেয়ে মুক্তা আক্তার। সম্প্রতি জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাস করা মুক্তা শিক্ষাজীবনের আরেকটি ধাপ পার করে ভর্তি হয়েছেন কলেজে। শিক্ষাজীবন শেষ করে হতে চান একজন আইনজীবী। পাশে থাকতে চান সত্যের পথে। গল্পটা সাধারণ মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে অনেক কষ্ট আর সাহসের গল্প। যার একটি বড় উদাহরণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মুক্তা আক্তারের পৃথিবীতে ডান হাতের একাংশ ছাড়া আগমন। বাঁ হাতই তার শক্তি। সেই শক্তি আরো বাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। নানাবাড়িতে বেড়ে ওঠা মুক্তা মায়ের কাছেই এগিয়ে যেতে শিখেছে। মা খালেদা বেগম তাকে শিখিয়েছন কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়। শিশু বয়স থেকেই পারিবারিক কারণে বাবার কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাকে। তবু থেমে থাকেনি। সিকন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়, এরপর বসন্ত কুমারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয় সে। মুক্তা আক্তার বলেছে, 'বসুন্ধরা গ্রুপের বৃত্তি পেয়ে সামনের পথ সহজ হবে আশা করছি। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরো সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাবো।'

বাংলাদেশ প্রতিদিন

News

Bashundhara Group pushes for female solvency

Bangladeshi student Sanjida Islam Choya has been named one of the 100 influential women in the world by BBC. She hails from Zhaugora village at Nandail and a member of Shuvosangho, a social welfare organisation of Bashundhara Group’s vernacular Bengali daily Kaler Kantho. She made headlines by fighting child marriage in her area. Bashundhara Group established a sewing training centre in her village for women emancipation. A number of 40 insolvent women received training from the centre. Of them, 20 women initially got sewing machines at a ceremony on June 17. Imdadul Haq Milan, famed litterateur and Editor-in-Chief of Kaler Kantho, handed over the sewing machines to the women. Lawmaker from Mymensingh-9 constituency Anwarul Abedin Khan Tuhin, Upazila Nirbahi Officer Md Abul Mansur, agriculture officer Md Anisuzzaman, Upazila Parishad vice-chairman Manowara Jewel, Kaler Kantho senior assistant editor and director of Shuvosangho Zakaria Zaman, and its Nandail upazila unit president Sohagh Akanto, among others, were present.   Ruma Akter was one of the insolvent women to have received the sewing machine. Despite having honours degree, she was jobless. The poverty-stricken family could not arrange her marriage. A few years back, her father passed away and situation of the family aggravated further. Her mother was unable to bear costs of five daughters and one son.  Her brother took up job of pickup van driver to support family. Ruman remained unmarried amid extreme poverty. After receiving training and sewing machine, Ruma Akter, 35, is about to take the helm of the family. Another recipient of the sewing machine is Maina Akter, 27. She belongs to a landless family. Her two brothers are day-labourers and they struggle to bear the family with little earning. Although Maina learnt tailoring, she could not afford a sewing machine and earn money. She is dreaming to change fate after getting sewing machine from Bashundhara Group. Sanjida Islam Mim is a 10th grader in a local school. She is the second of three children born to her parents. Her father Shahidul is a day-labourer. He is physically sick. Poverty was about to block her study. But training coupled with sewing machine has paved the way for uninterrupted study and a good future. After passing the SSC examinations, Lamia Khatun, 17, could not be enrolled into college for lack of money. She rejected a marriage proposal going beyond wish of her mother. However, her housemaid mother could not bear the cost of study. She got admitted to the college with the support of the Shuvosangho. She is dreaming to continue her study and support family after getting a sewing machine. Meanwhile, Purnima Rani Barman, a college student, is happy with a sewing machine. Her family is passing through hardship after death of her father – a fisherman. She obtained tailoring training and a sewing machine from Bashundhara Group. “The sewing machine has ushered in a new hope and aspiration. Apart from continuing study, I will support my family.” Poverty prevented college admission of Alaka Rani Barman. The situation deteriorated after her father lost eyesight. The whole family plunged into darkness. She said the sewing machine will enable her to continue study and stand by the family. Konika Akter, 26, said sickness of her husband has brought economic hardship to the family. She learnt tailoring from Shuvosangho and received a sewing machine. She was overwhelmed by the charity of Bashundhara Group. Ten year ago, Moina Akter lost her father. She took up a job of housemaid to support family. She could not get married for failure to pay dowry. She has to face criticism for delay in marriage. But firm determination took her to Shuvosangho training centre. Finally, the sewing machine has created a confidence in her mind to be economically emancipated and make the family solvent. Speaking on the occasion, Upazila Parishad vice-chairman Manowara Jewel said, “I heard of Bashundhara Group’s charity. But today’s programme has brought an opportunity to see the magnitude of charity and be impressed. Public representatives like me speak about social welfare but fail to do so. But Bashundhara Group is driving the downtrodden women to solvency. It is unprecedented.” Upazila Nirbahi Officer Md Abul Mansur said, “The social welfare programmes of Bashundhara Group deserve much appreciation. If others follow the example, it will be easy for Bangladesh to be a developed country by 2041, a time set by the government in this regard.” Anwarul Abedin Khan Tuhin MP said, “The way Bashundhara Group pushing women to solvency is really encouraging. I tender my heartfelt good wishes to Bashundhara Group Chairman Ahmed Akbar Sobhan, Managing Director Sayem Sobhan Anvir and their family members.” Imdadul Haq Milan, Editor-in-Chief of Kaler Kantho, said,  “We are working to change fate of the marginal class of women with the support of Bashundhara Group. The largest industrial conglomerate is contributing to the socioeconomic strides of the country. Today’s recipients of sewing machines will earn money and buy more sewing machines for other members of their families, triggering collective income. We are granting stipend to needy students, constructing schools and libraries in remote and underdeveloped areas, alongside training centres.” Bashundhara Group Chairman Ahmed Akbar Sobhan has ordered establishment of training centres at all districts and upazilas to leave no woman unemployed, she added.

Daily Sun

News

কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের বাড়ি নির্মাণ কর্মশালা

রাজশাহী: রাজশাহীতে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের বাড়ি নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় হোটেল স্টার ইন্টারন্যাশনালের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বাড়ি নির্মাণের সময় বাড়ির মালিকদের সচেতনতা ও সঠিকভাবে নির্মাণ কাজ পরিচালনার জন্য সার্বিক কৌশল ও কর্মপন্থা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল লতিফ শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর প্রকৌশলী প্রফেসর ড. মো. রবিউল আউয়াল বাড়ির ফাউন্ডেশন থেকে ফিনিশিং লেভেল পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণের কার্যক্রম সম্পর্কে পরামর্শ দেন।   পরামর্শের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- সয়েল টেস্ট, পাইলিং, উন্নতমানের কনক্রিট এবং ভূমিকম্প সহনীয় বাড়ি নির্মাণের দিক নির্দেশনা। পরে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের টেকনিক্যাল সাপোর্ট বিভাগের অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম সিমেন্টের গুণগত মান, কনক্রিটের কার্যক্ষমতা ও দীর্ঘস্থায়িত্বতা, উ‍ৎকৃষ্ট মানের সিমেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া, উন্নতমানের সিমেন্টের উপাদানসমূহ ও অন্যান্য বিষয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় বসুন্ধরা গ্রুপের সিমেন্ট সেক্টরের চিফ মার্কেটিং অফিসার খন্দকার কিংশুক হোসেন বাড়ি নির্মাতাদের কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান এবং কনক্রিটের মান নিয়ে তার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্পে কিং ব্যান্ড সিমেন্টের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় সিমেন্ট শিল্পে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের অগ্রগামী ভূমিকার জন্য ভোক্তাদের ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্র্যান্ড ম্যানেজার, রাজশাহী ডিএসএম (সেলস) শামীম আল মামুন ও জিল্লুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নির্মাতাদের নিয়ে বাড়ি নির্মাণ শীর্ষক এ কর্মশালায় স্থানীয় ৫০ জন বাড়ির মালিক এবং রাজশাহী বিভাগের কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের স্থানীয় ডিলাররা অংশ নেন।

Banglanews24

News

বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় ওমরাহ করে ফিরলেন তৃতীয় কাফেলার ২৭ মুসল্লি

ঢাকা: বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে তৃতীয় কাফেলার ২৭ জন মুসল্লি দেশে ফিরেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে তাদের এ সুযোগ করে দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে বাহরাইন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।   তারা সৌদি আরবে ১৪ দিন অবস্থান করেন এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশটির বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং বাজুস সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তৃতীয় ধাপে ওমরাহ পালন করে আসা হাজিরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা গত ৫ জানুয়ারি ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশে ঢাকা থেকে মক্কা-মদিনায় রওনা হয়েছিলেন। কাফেলায় আসা আব্দুল মান্নান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রুফ রিডার। দেশের বাড়ির ঝালকাঠি। তিনি বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল মক্কা-মদিনায় যাওয়ার। মক্কা-মদিনায় যাওয়া মানুষের প্রয়োজন। এটা বুঝতে পারলাম এ ১৪ দিনের সফরে। সেখানে মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও কোরআনের সার্বক্ষণিক আমল হয়। আমার মদিনায় কোরআন খতম দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। মদিনায় আমি কোরআন পড়েছি ২৮ পারা আর বাকি দুই পারা পড়েছি মক্কায়। অর্থসহ শেষ করেছি কোরআন পড়া। কোন আয়াতে কী মেসেজ, তা আমি লিখেছি। আমার নিয়ত আছে, ‘ইম্পরট্যান্ট মেসেজ অফ কোরআন’ নামে একটি বই লেখার। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, হজের ব্যবস্থাপনায় সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবকে প্রাণভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। এরই সঙ্গে কামনা করি, মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে এ ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে। ওমরাহ কাফেলায় ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল ব্যাপারী। তিনি বলেন, অনেক ইচ্ছা থাকলেও মক্কা ও মদিনা যেতে পারব, কখনো ভাবিনি। মক্কা-মদিনায় যাওয়ার পরে আমার একটি হাদিসের কথা বারবার মনে পড়ছিল, হারুনুর রশিদ বাদশার কথা মনে পড়ছিল। ওই বাদশাহ প্রতিবছর ২০০ মানুষকে হজে পাঠাতেন। তিনি আরও বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর ব্যবস্থা করে আমাদের হজে পাঠিয়েছেন। আমি মক্কা-মদিনায় দোয়া করেছি, আল্লাহ যেন হারুনুর রশিদ বাদশাহর মতো তাকে (সায়েম সোবহান আনভীর) বানায় দেন। বাংলাদেশের মানুষ যেন তার মাধ্যমে আল্লাহর ঘর দেখতে পারে। কাফেলার আরেক মুসল্লি ঘড়ির দোকানি জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ওমরাহ পালনের মধ্য দিয়ে ২৭ জনের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমার ছেলে কোরআনে হাফেজ। আমাকে ওমরাহ করতে পাঠাতে তারও অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কারণে সে সুযোগ হলো। এজন্য ওনার এবং ওনার পরিবারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তারা যেন এ উদ্যোগ চালু রাখেন, এ কামনা করি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বাংলানিউজকে বলেন, ১০৪ জন মুসল্লির মধ্যে ৮৬ জন ওমরাহ হজ করেছেন। বাকি ১৮ জনকে এ মাসের শেষে ওমরাহ করতে পাঠানো হবে। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তৃতীয় কাফেলার হাজিরা বসুন্ধরার নিজস্ব পরিবহনে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এর আগে, দ্বিতীয় কাফেলাটি ১১ জানুয়ারি সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে ৩৩ জন মুসল্লি দেশে আসেন।   এছাড়াও সৌদি আরবের উদ্দেশে ওমরাহ হজের প্রথম কাফেলাটি রওনা হয় গত ২৬ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিল আয়োজনে করা হয়। একই সঙ্গে ওমরাহ যাত্রা উপলক্ষে সব ওমরাহ যাত্রীকে শুকনো খাবারসহ সৌজন্য উপহার দেওয়া হয়। পরে কাফেলাটি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।

Banglanews24

News

ফরিদপুরে ১০ হাজার মানুষের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের শীতবস্ত্র বিতরণ

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ফরিদপুরে অসহায় ও দরিদ্র ১০ হাজার মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সার্বিক সহযোগিতায় নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়িতে ফরিদপুর সদর, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণ করেন বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মো. ইউনুস খান, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যাংকিং সেক্টরের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. রাজিব সামাদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সোহেল ও তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া। বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেন, দেশের মানুষের পাশে সব সময় ছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সহযোগিতায় সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরেও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। আগামীতেও মানুষের সেবায় কাজ করে যাবে বসুন্ধরা গ্রুপ। শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল পেয়ে বেশ খুশি অসহায় দরিদ্র মানুষেরা। এ সময় তারা বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সকলের জন্য দোয়া করেন।

News 24

News

আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত সায়েম সোবহান আনভীর

‘সেন্ট মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে সম্মানিত হলেন বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের ২২ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান ফর কালচারাল রিলেশনস’ (আইসিসিআর)-এর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয় মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটি। পুরস্কার হিসেবে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি মানপত্র, মাদারের ছবিসহ একটি স্মারক, উত্তরীয়, মিষ্টির প্যাকেট। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাসসহ বিশিষ্টরা। উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা মিডিয়া গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারাও। সম্মাননা পেয়ে আবেগাপ্লুত সায়েম সোবহান আনভীর জানান, “এটা দারুণ এক অনুভূতি। মাদার তেরেসার মত একজন ব্যক্তির নামাঙ্কিত সম্মাননা পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।” মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড প্রাপকদের মধ্যে যারা বেঁচে নেই তাদের প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগতিক ভাষণে অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস বলেন, বিশ্বের এতো শহর থাকতেও মানবসেবার জন্য মাদার তেরেসা কলকাতাকে বেছে নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে তাকে এই কাজ করতে প্রচণ্ড বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাকে গ্রামে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়নি তখন। আজ সেই মহীয়সী সিস্টার থেকে মাদার, এবং মাদার থেকে সন্ত হয়েছেন।’ উল্লেখ্য, আগেও বিভিন্ন সময়ে এই সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রমুখ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন